Thursday, March 5, 2015

বিটি বেগুনের শ্বেত পত্র

সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের Center for Culture-Centered Approach to Research and Evaluation সংক্ষেপে কেয়ার (CARE) থেকে বেগুনের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়। বিস্তারিত পড়ুন :

বিটি বেগুনের শ্বেত পত্র
-দেলোয়ার জাহান
বেগুন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের সবজি জাতীয় খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। বেগুনের অনেকগুলো জাতের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত হাইব্রিড বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। পোকাটির আক্রমনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মনপলি বাণিজ্যিক উৎপাদন কমিয়ে দেয়। পোকাটি প্রতিরোধে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানী মনস্যান্টোর প থেকে ভারতীয় কোম্পানী মাহিকো ব্যাকটেরিয়ার ব্যাসেলাস থুরেনজেনন্সিস (বিটি) জিন বেগুনে সংযুক্ত করে।
বিটি বেগুনে বিটি জিনের পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী মারর্কস
এসপিটিএলএল (markers, nptll ) এবং সিএএমভি ৩৫এস (CaMV35S) জিন যুক্ত করা হয় যেন সিআরওইয় বিটি জিন (cry1Ac) প্রকাশিত হয়। এই দুইটি মারর্ক জিন মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে দেহে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তুলতে পারে। এছাড়াও বিটি বেগুনের পরাগরেণু অন্য বেগুন জাতে ও সমজাতীয় অন্য উদ্ভিদের ছড়িয়ে
পড়ে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ২০১১ সালে ভারতীয় নবগঠিত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্তৃপ (এনবিএ) বেগুন বীজের বায়োপাইরেসির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৩ সালে কর্ণটক হাইকোট জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে বিটি বেগুন তৈরি ও ৬ স্থানীয় জাতে বিটি জিন সংযোগের দায়ে মনস্যান্টো, মাহিকো ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা পুর্ণবহাল করে। ২০০৬ সালে মাহিকো বিটি বেগুনের ব্যাপকভাবে মাঠ গবেষণার জন্য ভারতীয় কর্তৃপরে কাছে অনুমোদের জন্য আবেদন করে। সে সময় ভারতের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়। এবং দেশটির আদালত পরীক্ষা বাতিল করে। বিটি
বেগুন বাংলাদেশে ও ফিলিপাইনে সম্প্রসারণ করতে কোম্পানীগুলো দেশদুটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে। তবে দেশ দু’টির বিভিন্ন সংগঠন বিটি বেগুনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, জীববৈচিত্র্য হুমকি, খাদ্য নিরাপত্তার ও বীজের মালিকানা প্রশ্নে এই সম্প্রসারণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

No comments:

Post a Comment

Pages

My photos

My photos

Followers