Thursday, March 5, 2015

পেঁয়াজ কাটলে চোখ দিয়ে পানি পড়ে কেন?

পেঁয়াজ কাটতে গিয়ে কান্নাকাটির অভিজ্ঞতা আমাদের সবারই কমবেশি আছে। চলুন দেখে নেয়া যাক কেন এমন হচ্ছে…
 পেঁয়াজে সালফারযুক্ত বিভিন্ন যৌগ থাকে, এর মধ্যে একটি হল amino acid sulfoxide। পেঁয়াজ কাটলে এর কোষের ভেতরের অ্যালিনেজ(allinase) এনজাইম বের হয়ে আসে যা amino acid sulfoxides গুলোকে উদ্বায়ী sulfenic acid এ পরিণত করে যা চোখের পানির সংস্পর্শে syn-propanethial-S-oxide নামক যৌগ তৈরী করে, এটিই চোখে পানি আনার জন্য দায়ী। সহজ কথায়, চোখের পানির সংস্পর্শে মৃদু সালফিউরিক এসিড তৈরী হয়, তাই চোখ জালাপোড়া করে।
এখানে উল্লেখ্য যে, irritation এর অনুভূতি কর্নিয়ার উপরে থাকা free nerve ending এর মাধ্যমে detected হয়, তারপর cilliary nerve দিয়ে বাহিত হয়ে parasympathe
tic nerves হয়ে lacrimal gland কে stimulate করে, ফলে চোখ থেকে পানি পড়ে।

ফেসবুকে আমিঃ http://www.facebook.com/mb.reza.s

পিসি শর্টকাট ভাইরাস এ আক্রান্ত???? কোন সমস্যা নাই আমি আছিনা?? [MEGA POST]

আসসালামু আলাইকুম
সবাই কেমন আছেন ???? আশা করি ভালো আছেন অনেকদিন ধরে টিউন করিনা আজ হঠাত করে বসে পরলাম পিসি এর একটা টিউন নিয়ে শর্টকাট ভাইরাস টা অনেক ফহিন্নি একটা ভাইরাস যে এটার ভেজালে পড়েছে সে জানে এটা কি করতে পারে আমি আপনাদের এমন একটি সফটওয়্যার দেব যা USB এর সম্পূর্ণ সুরক্ষা দেবে তো আর দেরি কেন ???
D0wnload Link- http://upfile.mobi/824290
ডাউনলোড করে ইনস্টল করে নিন ইউজার নেম পাসওয়ার্ড দিয়ে একটিব করে নিন ফুল ভার্সন।
পরে যে ড্রাইভ ভাইরাস এ আক্রান্ত অইটা স্কেন করে ভাইরাস ডিলেট করে দিন বাস কাজ শেষ তারপরও যদি কোন সমস্যা হয় তাহলে তো আমি আছি ।

ফেসবুকে আমিঃ http://www.facebook.com/mb.reza.s

একটি ভালোবাসার গল্প


আমি বড় সাধাসিধা একটা ছেলে। ছোট বেলা থেকেই বড় হয়েছি কঠিন শাসন ও আদরের মাঝে। নষ্ট হয়ে যাব এই ভয়ে আমার মা আমাকে ঘরে আটকে রাখতেন। কখনো বাইরে বের হতে দিতেন না। যদি কখনো বের হই তো সেটা আমাদের পরিবারের কারো সাথে। এখানে একটা কথা আগেভাগে বলে নিই, আমি আমাদের পরিবারের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছেলে। বোধ হয় সেজন্যই সবাই সবচেয়ে আদর করে।
তা যাই হোক যা বলছিলাম, আমি সবসময় নিউট্রাল। মানে বুঝলেনতো? কারো আগেও নেই, কারো পিছেও নেই। তবে কেউ বিনা কারনে খারাপ ব্যবহার করলে তার প্রতিশোধ অবশ্য এক সময় নিয়ে নিই। এমনভাবে নিই যে সে নিজেও বুঝতে পারে না আমি প্রতিশোধ নিয়েছি। তবে মানুষটা খুব পছন্দের হলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মাফ করে দিই। যেমন প্রায়ই মাফ করি আমার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু সাগরকে। তবে ইদানিং তাকে এড়িয়ে চলছি। আর কত সহ্য করা যায়? সব কিছুরোতো একটি সীমা আছে! তবে তাকে এড়িয়ে চলছি তার প্রধান কারন হলো পাছে তাকে না কষ্ট দিয়ে দিই। এ ব্যপারে আমি নিশ্চিত, আমি প্রায় সব কিছুরই প্রতিশোধ নিই। এক সময় যখন তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে যাবো, তখন হয়তো প্রতিশোধ নেয়া শুরু করবো; যেটা আমাদের কারো জন্য সুখকর হবে না।
আমি কখনো এর আগে প্রেম করিনি। প্রেম আসলে কিভাবে করে তাও বুঝি না। ছেলে মেয়েরা একসাথে বসে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় কিভাবে যে পার করে দেয় আমার মাথা ঢুকে না! এত কথা তারা পায় কোত্থেকে? একবার এক বড় ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি উত্তরে বলেছিলেন, আগে প্রেম কর তারপর বুঝবি কোত্থেকে এত কথা আসে। হাহ্‍ প্রেম? ওটা আবার আমি করবো! এর থেকে আশ্চর্যজনক ব্যপার আর হতে পারে না। তবে আমার চেহারায় হয়তো আকর্ষন আছে, যে কারনে প্রথমে কোথাও গেলে মেয়েরা আমার সাথে নিজে থেকে কথা বলতে এগিয়ে আসে। অবশ্য, শেষ পর্যন্ত কথাও হয়, বন্ধুত্বও হয়; কিন্ত্ত প্রেম আর হয় না। হয় না কেন, কে জানে! কিন্ত্ত এটা দেখেছি, তারা আমাকে খুব বিশ্বাস করে। কেননা, তারা এমন কিছু স্পর্শকাতর ঘটনা ঘটায় আমার সামনে যে অন্য কোন ছেলে হলে হয়তো বা এর কোন বদ সুযোগ নিয়ে নিতো। আর যাই হোক কোন মেয়ে বন্ধুর প্রতি আমার কখনো উল্টাপাল্টা আকর্ষন জন্বায় নি। আচ্ছা, কেনো জন্মায় নি? প্রথম ওর সাথে দেখা হয় লিফটের সামনে। ও একাই দাঁড়িয়ে ছিলো। আমি যখন ওর পেছনে এসে লাইনে দাঁড়াই ও আমার দিকে মুখ ফিরিয়ে দু’সেকেন্ডের জন্য চোখে চোখ রেখেছিলো। ব্যাস, আমার সব কিছু উলটপালট হয়ে গেলো। এখনো মনে আছে; ওর সেই চাউনিতে ছিলো কি এক রকম প্রশ্ন, কি উত্তর যেন খুঁজে পেতে চাচ্ছিলো আমার চোখে। এক বিশাল আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে ছিলো সে। এখনো মাঝে মাঝে ভাবলে শিউরে উঠি। সেদিন আমার আবেগকে পাত্তা দিতে চাইনি। ভেবেছিলাম মোহ। কত মেয়ে দেখলে তো ভালো লাগে, সেই রকমই কিছু হবে হয়তো। কিন্ত্ত টের পেলাম পরে। সবসময় কিরকম এক অস্থিরতায় যেন ভুগি! বিশেষ করে প্রতি সন্ধ্যা বেলায় তার কথা মনে হয়। সন্ধ্যার সময় যখন সূর্য অস্ত যায়, চারিদিক বিসন্ন করে পাখি ডেকে উঠে ঠিক তখনই তার কথা মনে পড়ে। তার মাথা নিচু করে কথা বলার ভঙ্গিমাটা, গালে লাজুক রংয়ের খেলা চোখে ভাসতে থাকে। ও সবসময়ে ফতুয়া-জামা পড়ে আসে। যখনই দেখি- সেই ফতুয়াই। একেক সময় একেক ডিজাইনের; কিন্ত্ত সেটা ফতুয়া। মজার ব্যপার, তাই না! অবশেষে, আর সহ্য করতে পারলাম না। ঠিক করলাম যোগাযোগ করবো। খোঁজ নিয়ে জানলাম সে আমাদের ইউনিভার্সটিতেই পড়ে। তবে সিএসই ডিপার্টমেন্টে না, ফারমাসি ডিপার্টমেন্টে। তবে ব্যপার হচ্ছে, সে বাঙ্গালী নয়, আফগান! ব্যাস, দমে গেলাম। বাঙালী মেয়েদের প্রতিই আমার এক ধরনের বিতৃষ্ণা কাজ করে। আর এতো হচ্ছে খোদ বিদেশীনী। কতটা উগ্র যে হবে, তাতো খোদাই ভালো জানেন। কিন্ত্ত, যতবার ওকে দেখি, ওর ভঙ্গিমা লক্ষ্য করি ততবারই মনে হয় এই মেয়ের সাথে আমার স্বপ্নের মেয়ের অদ্ভুত ধরনের মিল। ছোটবেলা থেকেই একটি কাল্পনিক মেয়েকে প্রেমিকা বানিয়ে নিয়েছিলাম। যার সাথে আদৌ কোন মেয়ের মিল পাওয়া সম্ভব নয় বলে ভাবতাম। কেননা, এতোটা ভালো আর এতোটা নম্‍ª মেয়ে আল্লাহ-তা’লা পৃথিবীতে নামিয়েছে কিনা সে ব্যপারে আমার যথেষ্ঠ সন্দেহ ছিলো। কিন্ত্ত সারা হাবিবিয়া আমার ধারনা পরিবর্তন করা শুরু করলো। আমিও একসময় ভাবতে শুরু করলাম এই মেয়েকে ছাড়া আমার চলবে না।
একদিন, ওর ফোন নাম্বার জোগাড় করে মেসেজ পাঠাতে শুরু করলাম। কিন্ত্ত… কোন রেসপন্স নেই! আশ্চর্য! এতো মেসেজ পেয়েও কোন মানুষ চুপচাপ বসে থাকতে পারে বলে আমার ধারনা ছিলো না। অবশ্য মানুষকে কতটুকুই বা চেনা যায়! অবশেষে, একদিন সরাসরি ফোন করলাম।
আহ্‍, ও আসবে আজকে… আমার সাথে দেখা করার জন্য। প্রথম প্রথমতো আমার সাথে কথা বলতে রাজিই হয়নি। বাব্বাহ্‍ কি ধমক! “I am not that kind of girl, what you are thinking!” । আমিতো স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। অবশেষে অনেক কষ্টে ওকে রাজি করিয়েছি শুধু মাত্র দেখা করার জন্য। যেহেতু একই ইউনিভার্সটির, তবে দেখা করতে সমস্যা কি? তবে আমি জানি, আমাকে ওর ভালো লাগবে; কেননা আমি প্রথম শ্রেনীর।

হ্যাঁ, ঐতো ও দাড়িয়ে আছে বনানী বাজারের নিচ তলায়, যেমনটি আমাদের কথা ছিলো। আজো ফতুয়া-জামা পড়ে এসেছে। কাঁধে ব্যাগ ঝুলানো। গাল দু’টো লাল হয়ে আছে। লজ্জায়, নাকি রেগে আছে? যা হোক, আমাকে আজকে কথা বলতেই হবে। নাহলে হয়তো আর কোন দিন বলা হবে না।
ওর কাছে গেলাম। আজকে ভালো করে লক্ষ্য করলাম, লম্বায় ও আমার গলা সমান। এর আগে এতো কাছে আসিনি। রজনীগন্ধার একটি ষ্টিক সামনে এগিয়ে দিলাম। ও অবাক হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমাকে ইউনিভার্সটিতে দেখেছে অনেকদিন। বোধহয় আশা করেনি আমিই সেই ছেলে, যে তাকে উম্মাদের মত ভালোবাসে। ওর ঠোঁট কাঁপছে। আমি একরাশ আশা নিয়ে ওর সুন্দর চোখ দু’টোতে আমার দৃষ্টি ফেললাম। কিন্ত্ত… সেকি! ওর চোখে একরাশ ভয় কাজ করছে!
-“তুমি! ”, প্রায় ফিসফিসিয়ে ইংরেজীতে বললো।
-“হ্যাঁ।” , আমি গাঢ় কন্ঠে বললাম।
-“কিন্ত্ত, কিভাবে সম্ভব! ” , সারা কোন কারনে ভয় পেয়েছে। বিস্ফোরিত চোখে তাকিয়ে আছে।
-“কেন নয়? ” , আমার বুক চিরে যেন হাহাকার বের হয়ে আসলো। আমি সব ভেবেছি, কিন্ত্ত ও এখন যা ভাবছে তা কখনো ভাবিনি। আমার চোখ বোধহয় রক্তবর্ণ হয়ে উঠেছে। কান দিয়ে মনে হচ্ছে ধোঁয়া বের হচ্ছে।
-“তুমিতো রোবট! তোমার সাথে সম্পর্ক হতে পারে না… ” , ও চিৼকার করে বলে উঠলো।
-“শোন… ” , আমি ওকে ধরতে গেলাম। কিন্ত্ত ও ঝাড়া দিয়ে আমার হাত সরিয়ে দিয়ে দৌড়ে পালালো।

দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। হ্যাঁ, আমি রোবট। কিন্ত্ত তাতে কি? বাংলাদেশের প্রথম শ্রেনীর রোবট। যারা মানুষের মতো ধীরে ধীরে জ্ঞান অর্জন করতে পারে। যাদের মধ্যে ভালোবাসার অনুভূতিও বিজ্ঞানীরা সফলভাবে প্রোগ্রামিং করতে সক্ষম হয়েছেন। কিন্ত্ত ভালোবাসলেই চলে না, ভালোবাসাকে কাছেও পাওয়া চাই। এ কথাকি তাদের ভাবা উচিত ছিলো না?



কাহিনী কাল্পনিক, তবে পুরোটাই নয়!

ডাউনলোড করুন কুরান এর অডিও ও বাংলা সংস্কা


অনলাইনে এখন কুরান শরিফ আছে। এখান থেকে  আপনি কুরান শরিফের উচ্চারন সহ বংঙ্গানুবাদ ডাউনলোড করতে পারবেন। আবার বংঙ্গানুবাদ সহ অনলাইনেই পরতে পারবেন।

বিটি বেগুনের শ্বেত পত্র

সিঙ্গাপুরের জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের Center for Culture-Centered Approach to Research and Evaluation সংক্ষেপে কেয়ার (CARE) থেকে বেগুনের উপর একটি শ্বেতপত্র প্রকাশিত হয়। বিস্তারিত পড়ুন :

বিটি বেগুনের শ্বেত পত্র
-দেলোয়ার জাহান
বেগুন বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তানের জনগণের সবজি জাতীয় খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। বেগুনের অনেকগুলো জাতের মধ্যে বাণিজ্যিকভাবে চাষকৃত হাইব্রিড বেগুনে ডগা ও ফল ছিদ্রকারী পোকার আক্রমণ হয়ে থাকে। পোকাটির আক্রমনে প্রায় ৬০ থেকে ৭০ শতাংশ মনপলি বাণিজ্যিক উৎপাদন কমিয়ে দেয়। পোকাটি প্রতিরোধে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানী মনস্যান্টোর প থেকে ভারতীয় কোম্পানী মাহিকো ব্যাকটেরিয়ার ব্যাসেলাস থুরেনজেনন্সিস (বিটি) জিন বেগুনে সংযুক্ত করে।
বিটি বেগুনে বিটি জিনের পাশাপাশি এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী মারর্কস
এসপিটিএলএল (markers, nptll ) এবং সিএএমভি ৩৫এস (CaMV35S) জিন যুক্ত করা হয় যেন সিআরওইয় বিটি জিন (cry1Ac) প্রকাশিত হয়। এই দুইটি মারর্ক জিন মানবদেহে ছড়িয়ে পড়ে দেহে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী করে তুলতে পারে। এছাড়াও বিটি বেগুনের পরাগরেণু অন্য বেগুন জাতে ও সমজাতীয় অন্য উদ্ভিদের ছড়িয়ে
পড়ে জীববৈচিত্র্য হুমকির মুখে ফেলতে পারে। ২০১১ সালে ভারতীয় নবগঠিত জাতীয় জীববৈচিত্র্য কর্তৃপ (এনবিএ) বেগুন বীজের বায়োপাইরেসির অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহনের সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৩ সালে কর্ণটক হাইকোট জনস্বার্থে করা এক রিট আবেদনে বিটি বেগুন তৈরি ও ৬ স্থানীয় জাতে বিটি জিন সংযোগের দায়ে মনস্যান্টো, মাহিকো ও অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা পুর্ণবহাল করে। ২০০৬ সালে মাহিকো বিটি বেগুনের ব্যাপকভাবে মাঠ গবেষণার জন্য ভারতীয় কর্তৃপরে কাছে অনুমোদের জন্য আবেদন করে। সে সময় ভারতের বিভিন্ন সংগঠন প্রতিবাদ জানায়। এবং দেশটির আদালত পরীক্ষা বাতিল করে। বিটি
বেগুন বাংলাদেশে ও ফিলিপাইনে সম্প্রসারণ করতে কোম্পানীগুলো দেশদুটির বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সাথে কাজ করছে। তবে দেশ দু’টির বিভিন্ন সংগঠন বিটি বেগুনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি, জীববৈচিত্র্য হুমকি, খাদ্য নিরাপত্তার ও বীজের মালিকানা প্রশ্নে এই সম্প্রসারণের প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে।

পদার্থ ও প্রতি-পদার্থ, এবং রহস্যময় পদার্থবিজ্ঞান

বিজ্ঞান মানেই যুক্তিতর্ক, গবেষণা। আর গবেষণা মানেই রহস্য, সেই রহস্যের সমাধান, এবং তার চুলচেরা বিশ্লেষণ। আর বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখাগুলো পর্যালোচনা করলে দেখা যায়, সবচাইতে রহস্যময় বিজ্ঞান হচ্ছে পদার্থবিজ্ঞান। পদার্থবিজ্ঞানের অনেক রহস্য আজও অমীমাংসিত রয়ে গেছে।
পদার্থবিজ্ঞানের যে বিষয়টি নিয়ে এখানে আলোচনা করা হচ্ছে, তা হল পদার্থ(Particle) এবং প্রতি-পদার্থ(Anti-Particle)। পদার্থবিজ্ঞানী পল ডিরাক ইলেক্ট্রনের জন্য কোয়ান্টাম মেকানিক্স ব্যবহার করতে গিয়ে সেখানে আইনস্টাইনের থিওরী অব রিলেটিভিটি ব্যবহার করে ১৯৩১ সালে সর্বপ্রথম ইলেক্ট্রনের প্রতি-পদার্থের অস্তিত্বের কথা ধারণা করেছিলেন। তিনি ইলেক্ট্রনের এ প্রতি-পদার্থের নাম দেন “পজিট্রন”। এবং এর পরের বছর ১৯৩২ সালে কার্ল এন্ডারসনপজিট্রন আবিষ্কার করেন, এবং পরীক্ষার মাধ্যমে প্রমাণ করেন যে পল ডিরাকের অনুমানই সত্যি। ইলেক্ট্রন আর পজিট্রন পরস্পরের সংস্পর্শে আসা মাত্রই একে অপরকে ধ্বংস করে দেয় এবং তাদের সমস্ত ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হয়ে যায়। আর এই শক্তির পরিমাণ হচ্ছে E=mc^2।
আমরা জানি, আমাদের চারপাশের দৃশ্যমান জগৎ যা কিছু নিয়ে তৈরি, তার সবকিছুই সৃষ্টি হয়েছে ইলেক্ট্রন, প্রোটন এবং নিউট্রন দিয়ে। ইলেক্ট্রনের প্রতি পদার্থ যেমন পজিট্রন, ঠিক তেমনি প্রোটন এবং নিউট্রনেরও প্রতি পদার্থ রয়েছে, যাদের নাম যথাক্রমে এন্টি-প্রোটন এবং এন্টি-নিউট্রন। উল্লেখ্য, ইলেক্ট্রন মৌলিক কণা হলেও প্রোটন আর নিউট্রন কিন্তু মৌলিক কণা নয়। বিগব্যাং নামক যে মহাবিস্ফোরণের মধ্য দিয়ে পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছিল, সেই বিস্ফোরণের ফলে ১২ টি মৌলিক কণা ও তাদের প্রতি-কণা সৃষ্টি হয়েছিল। এই কণাগুলোকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়- কোয়ার্ক এবং লেপ্টন। ইলেক্ট্রন হচ্ছে লেপ্টন শ্রেণীভুক্ত। আর প্রোটন তৈরি হয় দুইটি আপ কোয়ার্ক এবং একটি ডাউন কোয়ার্ক নিয়ে। আবার নিউট্র্ন তৈরি হয় একটি আপ কোয়ার্ক এবং দুইটি ডাউন কোয়ার্ক নিয়ে। সুতরাং আমাদের দৃশ্যমান জগৎ সৃষ্টি হয়েছে তিনটি মৌলিক কণিকা ইলেক্ট্রন, আপ কোয়ার্ক এবং ডাউন কোয়ার্ক নিয়ে।
কিন্তু এখানে একটা খটকা থেকেই যাচ্ছে! যদি বিগ ব্যাঙ এর সময় এই ১২ টি মৌলিক কণিকা এবং একই সাথে তাদের প্রতি-কণা সৃষ্টি হয়ে থাকে, তবে তো ইলেক্ট্রন, আপ কোয়ার্ক এবং ডাউন কোয়ার্কেরও অবশ্যই প্রতি-কণা রয়েছে। আর তাদের সমন্বয়ে পৃথিবীতে উপস্থিত প্রতিটি পদার্থেরই প্রতি-পদার্থ সৃষ্টি হওয়ার কথা। কিন্তু আমরা জানি, পদার্থ এবং প্রতি পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে আসা মাত্রই একে অপরকে ধ্বংস করে দিয়ে আইনস্টাইনের E=mc^2 সূত্র অনুযায়ী শক্তিতে পরিণত হবে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি যে পৃথিবী এখনো দিব্যি টিকে আছে! তবে কী সেই প্রতি-পদার্থগুলো এমন কোথাও আছে, যেখান থেকে তারা পদার্থকে প্রভাবিত করতে পারছে না? আমরা সমগ্র বিশ্বের শতকরা মাত্র ৪ ভাগ সম্বন্ধে জানি, সেই ৪ ভাগ হচ্ছে আমাদের দৃশ্যমান জগৎ। আর বাকি ৯৬ ভাগই আমাদের অজানা! এই ৯৬ ভাগ আমাদের দৃশ্যমান জগতের বহির্ভূত এক অজানা জগৎ। হয়ত প্রতি-পদার্থগুলো সেই অজানা জগতেরই কোনো এক কোণে আত্মগোপন করে রয়েছে!
প্রতি-পদার্থগুলোকে দৃশ্যমান জগতের বাইরে পাঠিয়ে দিলেও স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলার কোনো কারণ নেই। কেননা পদার্থবিজ্ঞানের জগতে খটকা এমন এক জিনিস যাকে সাময়িকভাবে ভুলে থাকা গেলেও পুরোপুরি ফেলে দেয়া যায় না। ফেলে দিলেও পরিত্রাণ নেই, পথ চলতে হলে তাকে আবার কুড়িয়ে নিয়ে আসতে হবে। বিগ ব্যাং এর আগে পৃথিবীতে কোনো পদার্থ ছিল না, ছিল শুধু শক্তি। আর সেই শক্তি পুন্ঞ্জীভূত হতে হতে এক পর্যায়ে ঘটে মহাবিস্ফোরণ বিগ ব্যাং, এবং এর ফলে সমপরিমাণ পদার্থ ও প্রতি-পদার্থ সৃষ্টি হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, সমপরিমাণ পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থ যদি একই সঙ্গে সৃষ্টি হয়ে থাকে, তাহলে তো সৃষ্টি হওয়ার সাথে সাথেই আবার পরস্পরকে ধ্বংস করে দিয়ে পুনরায় শক্তিতে পরিণত হওয়ার কথা[এখানে লক্ষণীয়, পৃথিবীর সকল পদার্থ ও প্রতি-পদার্থ পরস্পরের সংস্পর্শে এসে একে অপরকে ধ্বংস করে দেয়ার পর যে শক্তি উৎপন্ন হবে, তার সর্বমোট পরিমাণ হবে বিগ ব্যাং এর পূর্বে যে পরিমাণ শক্তি ছিল তার সমান]! কিন্তু পৃথিবী তো কোটি কোটি বছর ধরে টিকে আছে!! তবে কী প্রতি-পদার্থের তুলনায় পদার্থ বেশি পরিমাণে সৃষ্টি হয়েছিল? তারপর সব পদার্থ এবং প্রতি-পদার্থ পরস্পরকে ধ্বংস করে দেয়ার পর বাড়তি পদার্থগুলো পৃথিবীতে রয়ে গেছে?? নাকি সৃষ্টি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই প্রতি-পদার্থগুলো কোনো এক অজানা জগতে চলে গেছে? কিন্তু কেন? কীভাবে??
সবকিছুর শেষে প্রশ্ন রয়েই যায়- কেন এবং কীভাবে?

Created by MB Reza

জরুরী কিছু ওয়েব সাইট ।



আমাদের ব্যস্ত জীবনে অনেককিছুর পাশাপাশি ইনটারনেটে ওয়েবসাইটগুলোর গুরুত্ব আনেক গভীর।বিভিন্ন তথ্য  ইউটিলিটি টুলসের জন্যসেগুলোর কাছে আমাদের দ্বারস্ত হতেই হয়।হয়।যেমন ধরুন,আপনি চাছ্ছেন ইমেলে আপনার বন্ধুকে একটি ১০০ মেগার ফাইল পাঠাতে কিন্ত ইয়াহুতে তা পারছেন না। আর তা যদি হয় বিনামুল্য ? ব্যবহার করে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি:http://www.yousendit.com/

ধরুন,আপনি চাছ্ছেন নিরাপত্তার কারণে আপনার মুল্যবান ফাইলগুলো কোথও আপলোডের মাধ্যমে স্টোর করতে। আর তা যদি হয় বিনামুল্য, কেমন হয় ? ২ গেগাবাইট ফ্রি,!  ব্যবহার করে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি:http://www.diino.com/ 
ধরুন,আপনি চাছ্ছেন আপনার ওয়েব সাইটি কোন সার্চ ইন্জিন এ সাবমিট করতে । আর তা যদি হয় বিনামুল্য, কেমন হয় ? ব্যবহার করে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি:http://www.geocities.com/gosubmit/
ধরুন,আপনি চাছ্ছেন ডাউনলোড ছাড়াই কোন বাংলা ইউনিকোড এডিটর এ বাংলা টাইপ আর তা যদি হয় বিনামুল্য, কেমন হয় ? ব্যবহার করে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি:http://bnwebtools.sourceforge.net/ রমজান মাস এলেই অনেকে যাকাত হিসাব করতে হিমশিম খান।কাজটা সহজকরে দিয়েছে নিচের লিংকটি ।ব্যবহার করেই দেখুন না এটা কত ।http://www.central-mosque.com/fiqh/zcalc.htm ধরুন,আপনি চাছ্ছেন আইটির উপর কিংবা বিভিন্ন সফ্টওয়ারের উপর একটা ভালো ধারণা কিংবা সেগুলো ব্যবহার করতে। আর তা যদি হয় বিনামুল্য, কেমন হয় ? ব্যবহার করে দেখতে পারেন নিচের লিংকটি:http://www.lifehacker.com/software/ 

Pages

My photos

My photos

Followers